Bengal school of Art (বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট )

Bengal school of Art - (বেঙ্গল স্কুল অফ  আর্ট ) 

ভারতীয় শিল্পীগন পাশ্চাত্য শিল্পরীতির প্রভাব মুক্ত হওয়ায় বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  একদিকে প্রাচীন পদ্ধতি অন্যদিকে ইংরেজ সভ্যতার ছাপ ভারতীয় চিত্রকলায় ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। । তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাজার 907 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ অরিয়েন্টাল আর্ট বা বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট পেন্টিং।  কলকাতা কর্পোরেশন স্ট্রিটের ম্যানশনে এই শিল্প বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানকার সভাপতি হন ইংরেজ সেনাধ্যক্ষ লর্ড কিচনার  ও যুগ্ম সচিব হন নরম্যান ব্যান্ড এবং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রধানত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে কয়েকজন শিল্পী ও গুণীজন শিল্প প্রেমী এই সংস্থার সঙ্গে গভীর ভাবে যুক্ত হয়েছিলেন।এদের মধ্যে ডঃ আনন্দ কুমার স্বামি, বিচারপতি স্যার জন উডরফ, প্যারীমোহন, ইবি হ্যাভেল প্রমূখ। তাছাড়া ছিলেন নাটোরের মহারাজা, বর্ধমানের মহারাজা, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু প্রমুখ ব্যক্তিগণ। তাদের চিন্তা ধারায় ভারতীয় শিল্পকলার প্রকাশ ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ শিক্ষাদান মুখ্য হয়ে ওঠে। 

বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট এর অন্যতম উদ্দেশ্য জনমনে শিল্প ও শিল্পী যোগসুত্র রক্ষা করা। তার এই উদ্যোগে প্রথম প্রদর্শনী প্রশংসিত হয় দেশীয় শিল্পকলা ও সংস্কৃতির চিন্তা ধারা প্রকাশ করে। প্রচার ও প্রসার কল্পে শিক্ষা দান এগিয়ে চলে। শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথের প্রদর্শিত পথে ভারতীয় শিল্পরীতি শিক্ষার্থীদের চিত্র বিদ্যার শিক্ষা  শেখাতে থাকেন। আদর্শ শিক্ষকের শিক্ষায় আমরা পরবর্তীকালে পেলাম প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়, সারদার উকিল, দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, পুলিন দত্ত প্রমূখ গুণী শিল্পীদের । 

বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট এর পাঠ্যক্রমে চালু হয় তিন বছরের। সেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সক্রিয় ধারায় শিল্প বিষয়ে আগ্রহী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ পায়। বিভিন্ন পত্রিকায় আলোচনার মাধ্যমে প্রচার ও ভারতীয় চিত্রকলার প্রসার এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সম্পূর্ণ হতে শুরু করে। এক কথায় বলা বাহুল্য বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট এর অনুপ্রেরণায় পরবর্তীকালে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে শিল্প শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। 


Post a Comment

Previous Post Next Post